মানুষের প্রাণের সূচনা

মানুষের প্রাণের সূচনা থেকে দণ্ডাজ্ঞা রয়েছে তার মাথার উপরে
কারু কাছে তাকে প্রিয় হেমন্তের নক্ষত্রের রাত মনে হয়
যখন আঁধার ঘরে হেমন্ত ঋতুতে আমি একাকী রয়েছি
জানালার ফাঁক দিয়ে পেয়ে যাই সোনালি বাঘের অনুভব
একটি অনন্ত কোটি নক্ষত্রের মতো জেগে রয়।

তার দিকে সকলেই চেয়ে আছি সকলের অজ্ঞাতসারে- জানে
ভুরুর সচকিততায় গাঢ় ব্যবহার গলা ও হৃদয়
কেমন ঘ্রাণের মতো- অনুভব না ক’রে বুঝেছি
তবুও সে জানে তার ডোরা-কাটা ভীষণতা নক্ষত্র-প্রেমীর প্রাণে অনুভূত হয়
সবাকে অভয় দিতে চায়, তবু হয়ে যায় চক্রান্তের ভয়।

হেমন্তের স্তব্ধ রাত কাছে পেয়ে তবু
পৃথিবীর লুপ্ত সব শতাব্দীর পরিষ্কার পিতাদের মতো
বালক-সুলভ এক নির্মলতা নিয়ে
দূরবিনে তার দিকে চাই যদি লুক্রেসিয়া, ল্যাপলাস, জেমসের মতো
তবে সে-ও জানে সব জ্ঞানীদের অশিক্ষিত পটুতায় আমরা সবাই মর্মাহত।

তবুও সুশিক্ষা সব হেমন্তের ভয়াবহ আকাশের পারে
আকাশকে তুলে দিয়ে দ্বৈপায়ন দান্তের মতন
পৃথিবীর মনোনীত জ্ঞানী আর প্রেমিকের দৃষ্টি নিয়ে হেমন্তের দুঃখ-সৌন্দর্যকে
যতই হৃদয়ে তুলে নিতে চাই- তবু তার বিবরণ আত্ম-সংশোধন
প্রথম এ-পৃথিবীতে আমরা কি তার কাছে তত বার এমন ভীষণ

সমস্ত নক্ষত্রে কোনও আলো নেই- একটি বাঘের ছায়া আছে
সেই ছায়া এসে কিছু সময়াতিপাত করে পৃথিবীর পথে
যত বড়ো পরিসর প্রেম আর হিংসা তার তত বড়ো নয়
কালকের সকালের অবিরল আলোকের হতে জলাঞ্জলি
দিয়ে উঠে সমুদ্র-স্নানের শেষে রুপালি এ-পৃথিবীর হাতে সব নক্ষত্রের বলি!