মনে পড়ে আমি ছিলাম (গান)

মনে পড়ে আমি ছিলাম বেবিলনের রাজা
তুমি ছিলে আমার ক্রীতদাসী,
রাতের মিনার শুকতারকায় জ্যোৎস্নামলিন ছিলো
দিনের প্রাসাদ পায়রা ঘেরা- সুনীল আকাশি
ধোঁয়ার মতো মিলিয়ে গেলো কবে,
তোমার সাথে আবার দ্যাখা হবে
তবুও আমার জানা ছিলো- কালের কুহর থেকে
হাজার-হাজার বছর তোমায় ডেকে
শুনেছি তুমি বলেছ, ‘আসি- আসি’।

আজকে আবার গৃহবলিভুকের সকাল এলে
তাকিয়ে দেখি মিশর-নীলিমায়
সে সব চেনা দুধের মতো শাদা
পাখিরা উড়ে যায়-
আমি আমার মনকে বলি, ‘আমি ভালোবাসি’।

হাজার-হাজার বছর আগে হারিয়েছিলাম যাকে
এখন সে তার প্রতীক নিয়ে হেতুর পারাবারে
খেলা করে ফেনার শীর্ষে কেঁপে ওঠে শুনি,
আমি আমার নির্বলতায় বেবিলনের বাঁশি
বাজিয়ে তাকে নীল অতিবেল অন্ধকারের থেকে
আলো- আরো আলোর পানে
আসছি না কি ডেকে।
এ-সব কারা মহিলারা আমার পাশাপাশি
চোখে চুলে হাতের নির্জনতার স্রোতে এসে
আধেক মনে পড়িয়ে হারায় কোথায় অনিমেষে
(হারায় রাতে) হঠাৎ জাগা শিশুর মতো:
ঘুমের পিয়াসী।

[রচনা: আগষ্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৪৬]