অন্ধকার আছে ব’লে

অন্ধকার আছে ব’লে- ছিল ব’লে- র’বে ব’লে- কোনও নিচে খানিকটা আলো
কেউ যেন চেয়েছিল; প্রাসাদের মহনীয় ল্যাম্পের থেকে যেন কার
যেন কোনও অচিন্ত্যের, যেন কোনও নির্বাণের, দু’-এক স্ফুলিঙ্গ এল পৃথিবীতে
চিত্রসেনী দেখা দিল তাই এই হিম মাসে… মৎস্যগন্ধা… বেচারাম মুদ্দাফরাস
(বেচারাম: গভীর স্ফুলিঙ্গ সে যে- তার বংশ পৃথিবীতে অনুর্বর হলে
অদৃশ্যের ল্যাম্প হবে এক মুঠো দেশলাই- গভীর প্রাসাদ তার
হয়ে যাবে বিস্কুটের বাক্সের মতন)- কবিতারা জন্ম নিল পৃথিবীতে
থামের আড়াল থেকে সেই দূর আভার প্রক্রিয়া
আপনাকে ব্যবহৃত হ’তে দিল কবিতার রূপে
মানুষের স্থূল দেহে রূপ আছে এশিরিয় সম্রাটের- কাফ্রি ক্রীতদাসীদের
মৃত্যু আছে
মানুষের পাণ্ডুলিপি মোমে রূপ আছে- শূন্য আছে
কবিতার এ-স্থূলতা এক দিন সূর্যাস্তের চিলের মতন
মাংসের খেদ লয়ে পিণ্ড হয়ে প’ড়ে র’বে খড় আর ন্যাকরার নীড়ে
অবশেষে ফুরায়েছে (সেই দিন)
অজস্র সোনার ডিমে জ্বলিছে একটি ডিম।