সেখানে জন্মেছে ব্যথা

সেখানে জন্মেছে ব্যথা,- বুঝেছ তা,- সেইখানে তবু এক জন্মেছে বিস্ময়!
সেই এক দূর দিকে- অন্ধকারে- পৃথিবীর মানুষের অনাহত পথে
এইসব আকাশের পিছে আরও,- অন্যসব নক্ষত্রের সে এক জগতে
বিস্ময় লয়েছে জন্ম সেইখানে;- সেইখানে জন্মিয়াছে বিস্ময়ের ভয়!
কোনও গ্রীক নাবিকেরা অসময়ে অন্ধকারে সমুদ্রের পথে পথ ভুলে
সেইখানে গিয়েছে কি? চক্ষুর কোটর থেকে মানুষের মতো চোখ তুলে
অদ্ভুত সমুদ্র এক দেখিয়াছে হয়তো-বা পাতালের গহ্বরের পারে!
অবিশ্বাসে চোখ তুলে সেই সব যুবকেরা হয়তো-বা দেখেছে তোমারে!
তাহাদের মৃতদেহ ভ’রে গেছে তারপর সমুদ্রের ফুলে- ফেনাফুলে-!

অথবা সিন্ধুর পথে স্বাদ পেয়ে তাহারাও সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন
ফিরিয়াছে;- গ্রীক তারা,- সমুদ্রের মতো ঢের ক্ষুধা- ঢের পিপাসার ধার
তাহাদের বুকে ছিল;- সব নক্ষত্রের শেষে ক’রে গেছে তারা আবিষ্কার
নতুন নক্ষত্র আরও;- পূর্বের সমুদ্র এসে সেইখানে করে আলোড়ন
পশ্চিম সিন্ধুর বুকে,- দক্ষিণ সমুদ্র গিয়ে সেইখানে উত্তর সাগরে
মানুষের মতো ব্যথা-আহ্লাদের আলোড়ন করে,
সেখানে গিয়েছে তারা;- সমুদ্রের যেই জল পৃথিবীর ঘ্রাণ নিতে আসে,
নিঃশ্বাস মিশায় গিয়ে যেই জল আকাশের নক্ষত্রের শীতল নিঃশ্বাসে,
সেখানে গিয়েছে তারা,- তাহাদের সাথে সিন্ধু ভেসে গেছে পশ্চিমে- উত্তরে-!