সহসা যখন ঝড় উড়ে এল

সহসা যখন ঝড় উড়ে এল
বৈশাখের রাত্রির আকাশে
যখন হৃদয়ে রক্ত গভীর তিমির হয়ে আসে
আমার অদ্ভুত ঘরে-
গড়েছিল এক দিন মৃত্তিকায় খড়ে-
যেই সব মৃত পিতা-পিতামহরা
প্রণােদিত তটিনীর জলের বিবরে
আরও গাঢ় মৃত্তিকায় আজও টের পাওয়া যায় যাহাদের নাড়ি
তাহারা আসিল উড়ে তামাশার তাড়া খেয়ে
কয়েকটি জোনাকির মতো
জানালার ফাঁক দিয়ে। বিলোল সোপান প্রত্যাহারী
এই ক্লিন্ন অন্ধকারে আধেক উড়িল ইতস্তত
চ’লে গেল- ধবল দাড়ির রাশি চিবুকে জ্বালিয়ে
গৈবি বাতাসের হাতে শয়তান-দমনের জ্যোতি
অবদমিতের মতো। সময়ের ত্রিস্রোতায় অন্য এক উদ্বাহু উন্নতি
চিনে নিল। ন্যাপথলিন গোলাপের ঘ্রাণ ছেড়ে গূঢ় এক পুরস্কার পেয়ে
পুস্তকের ক্বাথ, ভ্ৰম, কালি আর কঙ্কালকে খেয়ে।