সমুদ্রের জলে আমি (সংযোজিত)

সমুদ্রের জলে আমি দেহ ধুয়ে চেয়ে থাকি নক্ষত্রের আকাশের পানে
চারি দিকে অন্ধকার: নারীর মতন হাত; কালো চোখ, ম্লান চুল ঝরে
যতদূর চোখ যায় নীল জল হৃষ্ট মরালের মতো কলরব করে
রাত্রিরে ডাকিতে চায়- বুকে তার, প্রেম-মূঢ় পুরুষের মতন আহ্বানে
পৃথিবীর কত প্রেম শেষ হ’ল- তবু এই সমুদ্রের আকাঙ্ক্ষার গানে
বাধা নাই, ভয় নাই, ক্লান্তি নাই, অশ্রু নাই- মালাবার ঢেউয়ের ভিতরে
চারি দিকে নীল নারিকেল বন সোনালি ফুলের গন্ধে, বিস্ময়ের ভরে
জানে তাহা- কত দিন থেকে ওই মলয়ালী আর তার শিশু তাহা জানে

জানি না মান্দ্রাজ না কি এই দেশ? জানি না মালয় না কি? কিংবা মালাবার?
জানি না এ পৃথিবীর কোন্ পথ- কোন্ ভাষা কোন্ মুখে এখানে বাতাসে
জানি না যৌবন কবে শেষ হয়ে গেছে কোন্ পৃথিবীর ধুলোতে আমার
তবুও আমার প্রাণ তামিলের কিশোরের মতো ওই কিশোরীর পাশে
আবার নতুন জন্ম পায় আজ; কেউ নাই অন্ধকারে কবেকার ঘাসে
কত যে মৌরী খই ঝ’রে গেছে- চারি দিকে ফুটে সব উঠিছে আবার।

‘রূপসী-বাংলা’ খাতা
প্রকাশ: ১৯৮৪