সর্বদাই চেয়ে দেখে

সর্বদাই চেয়ে দেখে আমাদের পৃথিবীর অবিকল জনতার দিকে
কোনও নক্ষত্রের থেকে তবু নামে নাই- তবু এ-পৃথিবী
নিরক্ষর, সংজ্ঞাহীন সমুদ্রের মতন আবেগে যেন ভেসে
একটি থামের সাদা জন্ম দেয়- আর এক সমুদ্রপাখির
এই মহিলার প্রাণে। বেজি’র রোমের মতো ধূসর নগণ্য জলে ফুলে
তরঙ্গেরা দাঁত বার ক’রে কাটে এইখানে সময়ঘড়িকে।
ঢের দূরে সব-চেয়ে বড়ো স্থির জলের বেলুন
ব্রহ্মা’র শব্দহীন দেয়ালের প্রতিচ্ছবি থেকে
ছায়া পেল;- যদিও মহিলা তার বাঁকা সারসের পিঠে চ’ড়ে
উড়ে গিয়ে সেখানেও দেখে এল- তিনটি আলোকস্তম্ভ- একা
গভীর করুণা নিয়ে দাঁড়ায়েছে সূর্যের রঙে
এমন সমূহ আলো সেইখানে সব ঘিরে- সর্বদাই-
সকলকে আপন নিয়মে জেগে নিজ বশে এনে- এত ততোধিক
নিস্তব্ধতা… যাহাতে আবার তাকে ফিরে এসে মূঢ়ের মতন আপনাকে
স্নিগ্ধ ক’রে নিতে হল আমাদের সকলের সমবায়ে নেমে।