স্বাতী তারা

স্বাতী তারা, কবে তোমায় দেখেছিলাম কলকাতাতে আমি
দশ-পনেরো বছর আগে; সময় তখন তোমার চুলে কালো
মেঘের মতন লুকিয়ে থেকে বিদ্যুৎ জ্বালাল
তোমার নিশিত নারীমুখের- জানো তো অন্তর্যামী।
তোমার মুখ; চারি দিকে অন্ধকারে জলের কোলাহল।
কোথাও কোনও বেলাভূমির নিয়ন্তা নেই- গভীর বাতাসে
তবুও সব রণক্লান্ত অবসন্ন নাবিক ফিরে আসে।

তারা যুবা, তারা মৃত; মৃত্যু অনেক পরিশ্রমের ফল।
সময় কোথাও নিবারিত হয় না, তবু, তোমার মুখের পথে
আজও তাকে থামিয়ে একা দাঁড়িয়ে আছো, নারী-
হয়তো ভোরে আমরা সবাই মানুষ ছিলাম, তারই
নিদর্শনের সূর্যবলয় আজকের এই অন্ধ জগতে।
চারি দিকে অলীক সাগর- জ্যাসন ওডিসিয়ুস ফিনিশিয়
সার্থবাহের অধীর আলো- ধর্মাশোকের নিজের তো নয়, আপতিত কাল
আমরা আজও বহন করে, সকল কঠিন সমুদ্রে প্রবাল
লুটে তোমার চোখের বিষাদ ভর্ৎসনা- প্রেম নিভিয়ে দিলাম প্রিয়।