ভেবে ভেবে ব্যথা পাব

ভেবে-ভেবে ব্যথা পাব- মনে হবে, পৃথিবীর পথে যদি থাকিতাম বেঁচে
দেখিতাম সেই লক্ষ্মীপেঁচাটির মুখ- যারে কোনও দিন ভালো ক’রে দেখি নাই আমি-
এমনই লাজুক পাখি,- ধূসর ডানা কি তার কুয়াশার ঢেউয়ে ওঠে নেচে;
যখন সাতটি তারা ফুটে ওঠে অন্ধকারে গাবের নিবিড় বুকে আসে সে কি নামি?

শিউলির বাবলার আঁধার গলির ফাঁকে জোনাকির কুহকের আলো
ঝরে না কি? ঝিঁঝিঁর সবুজ মাংসে ছোটো-ছোটো ছেলেমেয়ে বউদের প্রাণ
ভুলে যায়; অন্ধকারে খুঁজে তারে আকন্দবনের ভিড়ে কোথায় হারালো
মাকাল লতার তলে শিশিরের নীল জলে কেউ তার জানে না সন্ধান।

আর সেই সোনালি চিলের ডানা- ডানা তার দূর থেকে আজও কি মাঠের কুয়াশায়
ভেসে আসে?- সেই ন্যাড়া অশ্বত্থের পানে আজও চ’লে যায় সন্ধ্যা সোনার মত হ’লে?
ধানের নরম শিষে মেঠো ইঁদুরের চোখ নক্ষত্রের দিকে আজও চায়?
আশ্চর্য বিস্ময়ে আমি চেয়ে রব কিছু কাল অন্ধাকার বিছানার কোলে।