বাইশে মাঘ

সেদিন ছিলাম জলেভাসা খড়কুটো
তুমি তো আসতে বিকেলে নদীর ধারে
ঢেউয়ের সঙ্গে লাফিয়ে পৌঁছতাম
ক্কচিৎ কখনো তোমার পায়ের কাছে

আজ সারাদিন লোকের পিছনে লোক
আজ সারাদিন সাহিত্যছাই ঘাঁটা
সারাদিনই শুধু একের পিছনে এক
মুখোশ চড়ানো, মুখোশ নামিয়ে রাখা

লোক চলে যেতে দুপুর গড়িয়ে যায়
হাতে অবসাদ, কোথায় তোমার লেখা?
পাতা ওল্টাই, কই খড়? কই কুটো?
পাতা ওল্টাতে বিকেল গড়িয়ে যায়

ও এসে দাঁড়ায়। পিঠে হাত রাখে, বলে:
‘আমরাও তা-ই! তাই নাগো? খড়কুটো!
ভাসতে ভাসতে এখানে পৌঁছলাম
কবিরা কি তবে সমস্ত জেনে যায়?’

কিচ্ছু বলি না, তাকাই অন্যদিকে
পাখিরা ফিরছে, মুখে খড়, মুখে কুটো।
তুমি কি বাড়িতে? তুমি কি বেরোবে আজ?
মনে মনে দেখি পুরনো সে-ঘরটিকে:
তুমি বসে আছো, সামনে জানলা খোলা
সামনে টেবিল, বইপত্রিকাছবি।
কত লেখকের কত খড় কত কুটো
হাওয়ায় উড়ছে, উড়ছে বৃষ্টিছাটে
তুমি বসে আছো সামনে জানলা খোলা
সূর্য ডুবছে উল্টো দিকের মাঠে

কোলের ওপরে জড়ো করা হাত দুটো!