কে তুমি?


কে তুমি?- কে তুমি?
ওগো প্রাণময়ি,
কে তুমি রমণী মণি!
তুমি কি আমার, হৃদি-পুষ্প-হার
প্রেমের অমিয় খণি!
কে তুমি রমণী-মণি?


কে তুমি?- তুমি কি চম্পক-কলি?
গোলাপ মতিয়া বেলী?
তুমি কি মল্লিকা যুথী ফুল্ল কুমুদিনী?
সৌন্দর্যের সুধা সিন্ধু,
শরতের পূর্ণ ইন্দু
আঁধার জীবন-মাঠে পূর্ণিমা রজনী!
কে তুমি রমণী-মণি?


কে তুমি?-
তুমি কি সন্ধ্যার তারা, সুধাংশুর সুধা-ধারা
পারিজাত পুষ্প-কলি
বিশ্ব বিমোহিনী!
অথবা শিশির স্নাতা, অর্দ্ধস্ফুট, অনাঘ্রাতা,
প্রণয় পীযুষভরা,
সোনার নলিনী!
কে তুমি রমণী-মণি?


কে তুমি?-
তুমি কি বসন্ত-বালা, অথবা প্রেমের ডালা,
প্রাণের নিভৃত কুঞ্জে
সুধা নির্ঝরিণী!
অথবা প্রেমাশ্রু-ধারা, শোকে দুঃখে আত্মহারা
প্রেমের অতীত স্মৃতি
বিধবা রমণী!
কে তুমি রমণী-মণি?


কে তুমি?-
তুমি কি আমার সেই
হৃদয় মোহিণী?
সেই যদি,- কেন দূরে? এস এই হৃদি-পুরে
এ’স প্রিয়ে প্রানময়ি,
এ’স সুহাসিনি!
এ’স যাই সেই দেশে,- ফুল ফুটে চাঁদ হাসে
দয়েলা কোয়েলা গায়
প্রাণের রাগিণী!
জরা নাই- মৃত্যু নাই, প্রণয়ে কলঙ্ক নাই
চল যাই সেই দেশে
এ’স সোহাগিনি!
কে তুমি রমণী-মণি?