মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী

ফুল-চোর বুল্বুল্ কেবলই গুঞ্জন-গানে গুল-বাগিচা প্রতিধ্বনিত করে তোলে। তার নিবেদনের বাণী যেমন অশান্ত, তেমনি মধুর, তেমনি ব্যাকুল। তার স্তব্ধ গানের সুর দখিন হাওয়ার বুকে আবর্ত তোলে, সে যেন ফাগুন-মাসের ঘূর্ণি-হাওয়া। কবিতার উদাসীনা ধরা-না-দেওয়া প্রিয়ার শ্রবণে কেবলই গানের দুল্ দুল্তে থাকে-

মোর প্রিয়া হবে, এসো রাণী, দেব
খোঁপায় তারার ফুল।
মনে দোলাব তৃতীয়া তিথির
চৈতী চাঁদের দুল্।।
কণ্ঠে তোমার পরাব বালিকা
হংস-সারির দুলানো মালিকা,
বিজলি-জরিন্ ফিতায় জড়াব
মেঘ্-রঙ্ এলোচুল।।

রামধনু হতে লাল রঙ্ ছানি’
আল্তা পরাব পায়;
চাঁদ হতে এনে চন্দন, প্রিয়
গোলাপ-ফুলের পাপড়ি আনিয়া
রচিব তোমার বাসর, লো প্রিয়া,
তোমারে ঘিরিয়া কাঁদিবে আমার
কবিতার বুলবুল।।


[এর সাথে বুলবুল দ্বিতীয় খণ্ড (১৯৫২) গীতিকাব্য’র ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী’ গাণের কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে কিন্তু কথায় ভিন্নতা রয়েছে।]