তোরা যা লো সখি মথুরাতে

তোরা যা লো সখি মথুরাতে
দেখে আয় কেমন আছে শ্যাম।
তোরা কুবুজা-সখার কাছে
নিস নে লো নিস নে রাধা নাম।।

তাদের রাধার কথা
স্মরণ করায়ে দিয়ে দিস নে লাজ দিস নে ব্যথা।
বড়ো বাজ্‌বে ব্যথা,
মোর শ্যাম যদি লো পায় ব্যথা তার দ্বিগুন ব্যথা বাজবে বুকে
সে অভাগিনি রাধায় ভুলে যে দেশে হোক আছে সুখে।।

সখি গো-
দেখে তোরে বিন্দে লো, বৃন্দাবনের কথা
গোবিন্দ শুধায় সে যদি,
(সখি লো),
বলিস- হে মাধব, মাধবী-কুঞ্জ তব ভেঙে গেছে
শুকায়েছে যমুনা নদী
(সখি হে)।
যমুনা শুকাইয়া শ্যাম তব শোকে হে,
লভিয়াছে আশ্রয় শ্রীরাধার চোখে হে।
ব্রজে বাজে নাকো বেণু, চরে নাকো ধেনু,
ফুল-দোল-রাস বন্ধ,
আর ময়ূর নাচে না তমাল-চূড়ায়,
কেঁদে লুটায় যশোদা-নন্দ।
বলিস্‌- তুমি আসার সাথে শ্যাম
পুড়ে গেছে ব্রজধাম।
গেছে জ্বলিয়া পুড়িয়া
গেছে গোকুলের খেলাঘর অকূলে ভাসিয়া।
বলিস্‌- কী হবে শুনে সে কথা
তুমি রাখাল নও তো আর,
এখন তুমি রাজাধিরাজ, এখন তুমি কুবুজার।।

[কীর্তন]