কথোপকথন ১৪

শুভঙ্কর-
যমুনাবতী হল আমার নদীনালা
এখন ধু-ধু-করা বালির চর,
পিছনে দিগন্তের হাতে গাঁথা মালা
শুকিয়ে গিয়ে যেন শুকনো খড়।

অপেক্ষায় আর অপেক্ষায়

নন্দিনী-
কোথাও ভৈরবী বাজছে বাতাসের
বুকের নিশ্বাসে সংগোপন,
আমারই রক্তের সিড়িতে হেঁটে যায়
আমারই অবেলার নিঃস্ব মন।

অপেক্ষায় আর অপেক্ষায়

শুভঙ্কর-
যে কোন ছায়াকেই আষাঢ় ভেবে নিয়ে
পেখম খুলে যায় কল্পনার,
দরজা আলো করে দাঁড়িয়ে মেঘবতী
অথচ খিল আঁটা সকল দ্বার।

অপেক্ষায় আর অপেক্ষায়

নন্দিনী-
দিনের রোদ ঢলে রাতের তমসায়
রাতের তারা শোনে দিনের শোক,
যতই অমানিশা আকাশ লেপে দেয়
ব্যাপ্ত নভোতট তোমারই চোখ।

অপেক্ষায় আর অপেক্ষায়