কথোপকথন ১০

যেহেতু ভূগোল পাঠ্য
ইতিহাস নেড়ে চেড়ে দেখনি কখনো
তাই না নন্দিনী?
যখন একটা দেশ আপাদমস্তক পরাধীন
রক্তচক্ষু শাসনের বাঘবন্দী পাহারায় ঘেরা
তখন সে দেশের হাওয়ায়
স্বাধীনতা-হীনতার বিরুদ্ধে পাঁজর জ্বালাবার
আগুন ও অভিপ্রায় আসে কোথা থেকে?
গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে আসে না সে চেতনার ঢল।
বীজ হয়ে আসে আকাশের
স্বদেশের সীমানার চেয়ে আরও বড় মহা আকাশের
ডানার আলোর থেকে,
যেভাবে ইতালী তার রেনেসাঁস খুঁজে পেয়েছিল।

আমারও রয়েছে এক নিজস্ব আকাশ
কলকাতার চেয়ে বড়
হয়তো বা পৃথিবীর দ্রাঘিমা ডিঙানো
সেই আকাশের বহুবর্ণময় বর্ণমালা থেকে
প্রেম কত প্রয়োজন বুঝি।
বুঝি কত প্রয়োজন দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতার নগর বিন্যাস।
নির্মাণ সৃষ্টির ছন্দে ছেদ এলে, যতিচিহ্ন এলে
কি রকম ক্ষতি হয় বুঝি।

মানুষকে অতিকায় বিস্ময়ের কাছে টেনে এনে
অভিভূত হতে দিলে তবেই মানুষ
নিজের সীমাকে ছিঁড়ে গরীয়ান হতে চাওয়া শেখে।

এবার তোমার শেষ প্রশ্নের উত্তর
কলকাতায় যে- বৃহন্নলা
যেই বিশ্বে, তখনই অর্জুন।