তিমিরতীর্থে

একদিন হেঁটে হেঁটে সেই ব্রতচারী
চলে এলো অন্ধকার রাতের মন্দিরে,
এ-রাতের অধিষ্ঠাত্রী পাথরের নারী
যেখানে বেদীর ‘পরে আদিম তিমিরে।
সেখানে নীরবে এসে দাঁড়ালো সে-ছেলে
জন্ম যার ধুলোওড়া আলোর শহরে,
সোনার বাটিতে কিছু গন্ধধূপ জ্বেলে
বললো সে, ঠাঁই দাও রাতের এ-ঘরে;
আমরা শরীরে হানো পাথরের হিম
আমার দু’চোখে দাও মায়াবী আঁধার
সোমরসে হৃদয়ের ব্যর্থতার নিম
ধুয়ে মুছে মুক্তি দাও এই যন্ত্রণার।

হঠাৎ দু’চোখে বুঝি নেমে এলো ঘুম
শরীর এলিয়ে দিলো কঠিন বেদীতে
শীতের বাতাসে তার নিভে গেলো হোম
ছিঁড়ে গেলো হদয়ের যন্ত্রণার ফিতে।

ক্লান্তি তার ধুয়ে ফেলে ঘুমের লেগুনে
আবার দু’চোখ মেলে রাতের বিলাসী
বললো, দু’চোখে দাও স্বপ্নজাল বুনে
আমার অধরে দাও পাথরের হাসি।