কালো ধোঁয়া

অশান্ত কালো ধোঁয়ায় পৃথিবী
হঠাৎ করে ঢেকে গেছে- ছেয়ে গেছে।
স্বপ্নমাখা উজ্জ্বল আলোয় দিনের রবি
হারিয়ে গেছে দৃষ্টিসীমার ধূসর মেখে।
যন্ত্রগুলো আকুলভাবে
চিৎকার ক’রে ভাঙে মিনার স্বপ্নসৌধ,
ক্ষুদ্ধ পাষান ভীষন রবে
থরথর কাঁপে কিসের যন্ত্রনায়।

পাখিগুলোর বাশী যে আর
ভোর হলে যে ঘুম ভাঙ্গায় না,
নদী বুঝি স্তব্ধ আজ; নীরব তাহার
জল ছল ছল নূপুরধ্বনি চমৎকার।
কালো ধোঁয়া অশান্ত সব
করে দিলো- নীড়ের নিদ্রা, পাখির বাঁশী,
হায়না গুলো তীক্ষ্ণ নখে
ছিঁড়ে নিলো শান্ত বুকের মিষ্টি হাসি।
কালো ধোঁয়া- কেড়ে নিলো
খেয়ার মাঝির বুকের মানিক,
সিঁথির সিঁদুর মুছে দিলো
অঙ্গন বৌএর রাঙা ভালেয়।
কালো ধোঁয়া চুষে খেল
বুকের শীতল লাল রক্ত,
পথের ‘পরে লাশের পাহাড়
সৃষ্টি হলো, শবের মিছিল
পথে পথে নদীর জলে।
কালো ধোঁয়া বুঝে করলে ক্ষত কার্নেটের সুতীক্ষ্ণতায়,
শিকল ভাঙ্গার অবৈধ গান
হৃদ্পিণ্ডের সতেজতা; গুড়িয়ে দিলো
আগুন মাখা বুলেট ছুঁড়ে।