সুধা

সুধা আছে গো কোথা?
কেবা জানে বারতা?
আছে কোন্‌ সুদূরে-
কোন্‌ স্বরগ-পুরে!

হায় কোন্‌ নিঝরে
সুধা নিয়ত ঝরে?
সে কি হরে গো ক্ষুধা-
সেই স্বরগ-সুধা!

সে কি পিপাসা হরে?
সেকি অমর করে?
হায়! তাহারি তরে
মন কাঁদিয়া মরে।

আমি শুনেছিনু রে
সুধা আছে সুদূরে
কোন্‌ স্বরগ-পুরে,
তাই মরেছি ঘুরে।

ঘুরে মরেছি একা,
তবু পাই নি দেখা!
শেষে তোমারে পেয়ে
প্রাণ উঠিল গেয়ে!

করি’ তোমারে সাথী
চোখে জাগিল ভাতি!
মোর টুটিল রাতি
মন উঠিল মাতি’।

সুধা ছিল নিঝুমে,-
বুঝি মগন ঘুমে,-
তব প্রথম চুমে
এল মরত-ভূমে!

ক্ষুধা নিল সে হরি’
দিল অমর করি’
সুধা পড়িল ঝরি’
এই ভুবন ‘পরি!

সে যে নিকটে আছে,-
আছে তোমারি কাছে,-
আগে জানি নি তাহা,
ঘুরে মরেছি আহা!

সুধা স্বরগে আছে
আছে তোমার কাছে;
তবে, স্বরগ-ভূমি
সে কি! তুমি গো তুমি।

সুধা অধরে রহে,
শুধু স্বরগে নহে,
তাই জগত বাঁচে,
মোর হৃদয় নাচে!

সুধা আছে তোমাতে,
আছে মিলন-রাতে;
সুধা প্রথম চুমে
নেমে এসেছে ভূমে।

আমি জানি বারতা,
আমি জানি সে কথা,
চির- নীরব স্রোতে
সুধা বহে মরতে।

তাই শিশুরা হাসে,
চাঁদ হাসে আকাশে,
তাই ফাগুন আসে
ফিরে বনের পাশে!

সুধা মিঠার মিঠা!
ফুল- মধুর ছিটা!
সুধা পরাণ ভরে,
সুধা নিঝরে ঝরে!

সুধা হরে অবসাদ,
হরে সকল বিষাদ;
সুধা দেবতার সাধ,
সুধা অগাধ! অগাধ!