একবার দূর বাল্যকালে

একবার পেয়েছিলাম দূর বাল্যকালে, কৈশোরে
রাস্তার ফাটলে কিছু তরল জ্যোৎস্না –
সেই থেকে সমস্ত যৌবন অবধি, এমন কি গত যুদ্ধে,
ব্ল্যাক-আউটের ট্রেঞ্চেও, সন্ত্রস্ত স্মৃতির ভেতরে ছিলো
আসমুদ্রহিমাচল জুড়ে জ্যোৎস্নার জান্তব জাগরণ…

শুনেছি জ্যোৎস্না শুধু ধ্যানমৌন পাহাড়ের চূড়ায় কোনো
ত্রিশূলদেহ একাকী দরবেশ কিম্বা হিমালয়ের পাদদেশে,
তরাই জঙ্গলের অন্ধকারে, ডোরাকাটা বাঘের হলুদ শরীর নয়,
বরং ঘরের ছাদ থেকে ঝাঁকে-ঝাঁকে পোষমানা পায়রা তখন ওড়ে,
তখনও জন্মায় জ্যোৎস্না : ঝ’রে পড়ে গৃহস্থের সরল উদ্যানে।

ভাঙা গলায়, শীত রাত্রে ‘জ্যোৎস্না জ্যোৎস্না’ ব’লে বারান্দায় দাঁড়ালে
হুইসিল বাজিয়ে দৌড়ে আসবে পুলিশ, গর্জাবে খাকি জিপ!
অথচ বদান্যতার অভাব নেই কোনো, জ্যোৎস্নার জ্বলজ্বলে লাবণ্য
আজীবন খুচরো পয়সার মতো পার্কে, ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প’ড়ে থাকে।
শুধু যথার্থ হা-ঘরে যারা, বেকার, উপোসী,
তারাই তাকে নির্বিকার, নোংরা আঙুলে, বারবার খুঁজে পায় –