মোহন ক্ষুধা

(মুশাররফ রসুলকে)

উনুনের লাল আঁচে গাঁথা-শিকে জ্বলছে কাবাব,
শীতরাতে কী বিপজ্জনক ডাক দ্যায় আহ্লাদে শহর,
কালো রাস্তার বেঞ্চিতে চলে যাই পঙক্তিভোজনে, ক্ষান্ত তবে
হবে কি প্রেতার্ত ক্ষুধা? লকলকে আগুনের মত নাচে,
জিহ্বা নাচে। কত খররৌদ্র এই অন্ত্রের জটিল পাকে-পাকে,
নরমুণ্ডের মত জ্বলন্ত সূর্য গলার ভেতর থেকে নেমে গ্যাছে,
রোমে-রোমে হর্ষ লাগে, গ’লে পড়ে বিষাদ সঙ্গীত
নিন্দুকের, -কেবল আত্মা যার বিবাদ আর বচসায় ভরা,
সে জানে কী মধুর ক্ষুধার্ত যুবাদের নব্য জয়ধ্বনি।

নাসারন্ধ্র পরিশ্রমী অশ্বের মতন ফোঁপায়, মুখ থেকে
নামে কষ জীবনের সমান সতৃষ্ণ, শান্তিহীন সহিষ্ণুতায় :
রগ টেনেটেনে কেউ শক্ত হাতে বুঝিবা বাজাবে,
ঝিম্ ধরে মাথার ভেতর; ভালবাসার আরক্ত মাকড়
জাল রাখে, খুব আস্তে এই সর্বেসর্বা মাংসে, রক্তোচ্ছ্বাসে।
দারুণ বিস্ফোরণ এনে দিল ক্ষুধা; সম্ভাবনার হিরন্ময় মেঝেয়
এই ক্ষণে ছিন্ন ঘাঘরার দ্যুতি, উরুর অরুণিমা, দুরন্ত পা
চক্ষে মাধুরী জোগায়, ভরে দ্যায় অশান্ত নিষ্ঠুর জাগরণে।।