হাই মিস্টার রাহমান

হাই মিস্টার রাহমান, ভোরবেলা থেকে মধ্যরাত অব্দি
আকাশ পাতাল এক করেও আপনার
সাধের কবিতার খাতার পাতায় একটি নতুন পঙ্‌ক্তিও
বসাতে পারলেন না। অথচ জনাব ঘুম থেকে
জেগে উঠেই তাড়াহুড়ো করে চায়ের কাপ নিয়ে
বসলেন; ধোঁয়ার লতিয়ে ওঠার দিকে খানিক নজরও
দিলেন না, দেখলেন না পেয়ালার রূপ। একবারও
তাকালেন না জানালার বাইরের ফুলের ঐশ্বার্যে
নুয়ে-পড়া গাছটির দিকে। অদূরে
পাখা কাঁপানো পজাপতিটাও
আপনার দৃষ্টির বাইরে রয়ে গেল, স্যার। আপনি কিছু
মনে করবেন না, নিষ্প্রাণ প্রস্তরমূর্তিবৎ ছিলেন!

জানি, একটি কবিতা লেখার তাড়া ছিল আপনার
অথচ কোনও কোনও ভোরবেলা ধূমায়িত
চায়ের পেয়ালার রূপ আপনার অনেক সময় কী সুন্দর
আদায় করে নিয়েছে, কবি। একটি গুবরে-পোকার ধীর গতি
আপনাকে কোনও নতুন ছন্দের সন্ধান দিয়েছে।
খুব সহজেই যেন খেলা হয়ে গেছে একটি প্রকৃত নতুন কবিতা।
আজ কেন কবিতার খাতার পাতা ধু ধু মরুভূমি?
জনাব রাহমান, এ এক জবর তেলেসমাতি সওয়াল!
অকূল দরিয়া বয়ে চলেছে নানারূপে পাতালে
অপরূপ রত্ন কত বিরাজ করে, কে কখন কী নিয়ে যায়,
বলতে পারে না কেউ। আপনিও ডোবান ঘড়া, কবি।
হয়তো গহন পাতাল ছোঁবে বার বার সেই ঘড়া,
ছড়াবে আলোর ছটা।