জন্মভূমিকেই

শহরে রোজ ট্রাফিক গর্জায়,
চতুর্দিকে চলছে কী হুজুগ;
কত চৈত্র, কত শ্রাবণ যায়,
তোমাকে আমি দেখি না কত যুগ।

অথচ দেখি নিমেষে আজকাল,
একলা ঘরে যখনই চোখ বুঝি।
খাটিয়ে রাঙা কল্পনার পাল
তোমার কাছে গিয়েছি সোজাসুজি।

তোমাকে দেখি তালদীঘির ঘাটে,
শারদ ভোরে দূর বেদাগ নীলে;
তোমাকে দেখি ফসলছাওয়া মাঠে,
চিলেকোঠায়, দূর চলনবিলে।

তোমার চোখ, তোমার কেশভার
ঝলসে ওঠে আমার চোখে শুধু।
কে আশাবরী শোনায় বারবার,
হৃদয়ে জ্বলে স্মৃতির মরু ধূ ধূ।

বৃথাই আমি তোমাকে কাছে চাই;
হিংস্র দিন, স্বৈরাচারী রাত
আমাকে রোজ পুড়িয়ে করে ছাই-
পাই না আর তোমার সাক্ষাৎ।

তোমার কাছে শিখেছিলাম বটে
বাঁচার মানে নতুন করে মেয়ে।
এখন শুনি নানান কথা রটে,
সত্য গেছে মিথ্যাতেই ছেয়ে।

রটনা জানি নেহাৎ একপেশে,
স্বপ্নেও যে তোমার দেখা নেই।
কিন্তু মেয়ে তোমাকে ভালোবেসে
হৃদয়ে চাই জন্মভূমিকেই।