নিভৃত অক্ষরে

মাঝে-মধ্যে হল্দে অপরাহ্নে এই যে দুজন আসে
নিরিবিলি, বসে পার্কে ঘাসে,
হাত ধরে পরস্পর কিংবা চুমো খায় অন্ধকার
খুলে দিলে ছাতা, বারংবার
করে আলিঙ্গন
অথবা কখনো খুব লুকিয়ে চুরিয়ে কিছুক্ষণ
বস্তুত ভাড়াটে ঘরে শোয়া যুগ্মতায়-
এসব তেমন কিছু নয়; বলা যায়
অতি সাধারণ আর পুনরাবৃত্তিতে স্বাভাবিক।
কখনো কখনো হয়ে ওঠে অলৌকিক।
কোনো কোনো দৃশ্য কোনো শিল্পীর দৃষ্টিতে অকস্মাৎ।

যতই সামান্য হোক এই হাতে হাত
রাখা দৃষ্টি বিনিময়, আলিঙ্গন, সঙ্গমকালীন উচ্ছলতা,
এইসব খুঁটিনাটি দৃশ্য, বহু-ব্যবহৃত কথা,
এমন প্রসঙ্গ জানি বৃথা নয় কবির জীবনে;
মোহন চুল্লিতে তার পরিশুদ্ধ হয়ে ক্ষণে ক্ষণে
উঠে আসা প্রগাঢ় প্রস্বরে
হৃৎস্পন্দনের মতো কবিতার জ্বলজ্বলে নিভৃত অক্ষরে।