দূর-দৃষ্টি-হীন

যারা দিচ্ছে কারাগারে আমাকে পাহারা,
তাকায় বিস্ময় নিয়ে মাঝে মধ্যে তারা,
কী কারণে পড়ে আছি একা একা জেলে
জগৎ সংসার দূরে বহুদূরে ফেলে!
বুঝতে পারেনা তারা, চোখের তারায়
হয়তো কফোঁটা জল কাঁপে করুণায়!
কানে কানে বারবারই প্রশ্ন করে যায়
কে বাঁচে এভাবে স্বাধীনতা হীনতায়?

আমি কি বুঝিনা বুঝি? এক অন্ধকারে
বসে থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি বাড়ে হাড়ে।
কী করে এতটা ধৈর্য কোথায় পেলাম?
ধৈর্যের পরীক্ষা হলে কার বদনাম!
কে কার পরীক্ষা নেবে, মানবে কে হার!
আমাকে করেছে বন্দি ক্ষুব্ধ সরকার
পরীক্ষা আমার নয়, তাদের এবার,
কতদিনে করে দেখি বিষফোঁড়া পার।

ধৈর্যের যা কিছু বাধ, ভেঙে সর্বনাশ,
লাভ নেই টেনে ধরে ইস্পাতের রাশ!
আপাতত করে নিচ্ছে ধর্মবাদ-চাষ
পরেরটা পরে হবে, পরে রাজহাঁস।
চুনোপুটি ধৈর্য ধরে বছর যাওয়াবে
তিমিরা সইবে কেন? আস্ত গিলে খাবে।

আমার না হয় আশা আজকাল ক্ষীণ।
ধর্মবাদের ফসল কোনও একদিন
তাদের তুলতে হবে নিজেদের ঘরে,
ভরে যাবে সবকটা ঘর বিষধরে।

কালসাপগুলো পোষা দুধ কলা দিয়ে,
একেকজনকে খাবে গিলে বা চিবিয়ে।
সেদিনের কিন্তু খুব বেশি নেই বাকি,
যেদিন জানবে তারা নিজেদেরই ফাঁকি
দিয়ে গেছে দিন দিন মনোবলহীন
তুখোড় রাজনীতিক দূরদৃষ্টিহীন।

১০.০৩.০৮