বৈশাখে উত্তরবঙ্গীয় বাস

বৈশাখের বাসে উঠেও তুমি চৈত্রকে-
বিদায় দিতে পারলে না, পারলে না নাড়াতে
উষ্ণতার বিপক্ষে কোনো চৈত্রের বিদায়ী হাতপাখা
যদিও বিদায় কখনো উষ্ণতার হয় না,
তবুও তোমার উষ্ণতা নিবারণ বড় প্রয়োজন ছিল
বৈশাখের সেই লাল বাসে।

আমি তাই একখণ্ড শীতল বাতাসের নির্ভরতার খোঁজে
তন্ন তন্ন করি বাসস্ট্যান্ড
হালকা পাতলা কোনো চটুল সাপ্তাহিকে,
পুরানো দৈনিকের অবিকৃত পাতায়,
বিজ্ঞাপনের ছেঁড়া কার্টুনে-সৃষ্ট বাতাসের প্রত্যাশা পূর্ণ করে
তোমার হাতে পৌঁছে দিতে এক পাখার বিকল্প গন্তব্য
ক্লান্তিহীন তোমার বাতাস-যাত্রায়, ছায়াপথে।

কিন্তু তোমার এ দীর্ঘ পথযাত্রা এবং ক্লান্তিময় উত্তাপ
আমার হৃদয়ে সম্পূর্ণ চৈত্রের হাওয়াহীন
তাপ-হলকা ছিটিয়ে সড়ক-পলকের গতি নিয়ে
ছুটে গেলো বৈশাখের সেই উত্তরবঙ্গীয় বাস,
আমার দৃষ্টির পলকহীন অপেক্ষার বাইরে।