পিঁপড়ে ও গুদাম

অভ্যন্তরে চিনির বরফ
খাদ্যের ভাটা নেই
তবু পিঁপড়ে-বন্দির ঘোরাফেরা
স্রোত নেই
তবু ফ্রিজি-স্রোতের পাহাড় থেকে
খাদ্য-জোয়ারের ঢল নামে,
আর পিঁপড়েটি জীবন-নির্বাপক
আবদ্ধ ঢলের মুখে
গতিহীন চিনির গুদামে একা।

অভাবহীন খাদ্য আর
কর্মহীন সক্রিয় জীবন নিয়ে
পিঁপড়েটি উদ্যত হলো
একজোড়া ডানার প্রার্থনায়
শস্যের সূর্যমুখী মাঠ আর
শিশির ক্রিস্টালে ছড়ানো ভোর
চাইলো খাদ্য-প্রহরীর কাছে,
উন্মুক্ত গুদামের প্রত্যয়।
কিন্তু প্রহরী তার সকল আরজির মাঝে
দিল শুধু খাদ্য-প্রাচুর্যের অধিকার।

এভাবে নির্মিত অলস-পিঁপড়ের জন্যে
চিনির গুদাম থেকে
মেধা ও মননের স্তরে এলো ডিডিটি
এবং গুদামজাতের আরো
বিবিধ প্রতিরোধক।
এবার অসহায় দলছুট পিঁপড়েটি
স্বজাতির পুনরুত্থানের প্রার্থনায়
একটি অঙ্গীকারবদ্ধ মুক্ত গুদাম চাইলো
ঈশ্বরের কাছে
কিন্তু এরই মধ্যে খাদ্যগ্রাসী
গুদামের তলপেটে তার
মৃত-অস্তিত্বের সন্ধ্যা নেমে এলো।