স্টেজ

নাচো, নাচো, হে নর্তকী, এই বক্ষে, এই স্টেজে, নাচো চিরদিন
বাজাও নুপূর ঘন, আবর্তিত হও, শব্দ তোল উদ্ভিদবিদার,
পায়ের আঘাত হোক রক্তবীথি ছিন্নভিন্ন, মাংসরা মলিন,
নাচো, নাচো, হে নর্তকী, এই বক্ষ, এই স্টেজ সর্বদা তোমার।

চূর্ণ করো এই বক্ষ, জীর্ণ করো হৃৎপিণ্ড, পাঁজর,
চিকার ক্রন্দন ক’রে অস্থিপুঞ্জ, রক্তমাংস, সর্বাঙ্গ বাজুক;
তোমার ঘূর্ণিতে ভাঙে চিরকাল গ’ড়ে যাওয়া ঘর
বেদনা রিক্ততা মেখে বেহিশেবি রক্তরা সাজুক।

চোখ থেকে আলো দেবো, বিচ্ছুরিত বর্ণের বৈভব
উঠবে বেয়ে সারাদেহ, পদতল, গাঢ়বক্ষ, কৃষ্ণকেশপাশ,
প্রেক্ষাগারে করতালি, হর্ষধ্বনি, নিবেদিত স্তব
সবই তোমার প্রাপ্য: সারাগৃহে উল্লাস… উল্লাস…

নাচো, নাচো, হে নর্তকী, এই বক্ষে, এই স্টেজে, নাচো চিরদিন,
তোমার সৌন্দর্য সব দর্শকের, স্টেজের ভাগ্যে থাক বিষ,
তবুও সে অভিযোগ তুলবে না, একবিন্দু, তৃণসম ক্ষীণ,
স্টেজের কাম্য শুধু পদাঘাত- হাহাকার, বিষ অহর্ণিশ।