আরও গাঢ় বিতর্কের পাতা

আরও গাঢ় বিতর্কের পাতা নেড়ে-চেড়ে
জানি না সে পেল কোন প্রীত সমাধান
বহু দিন আমাদের চক্ষু থেকে অন্তর্হিত হয়ে
সে যেন প্রবাদ হয়ে ছিল কোনও অন্ধকার নিমজ্জিত ভিড়ে
মাঝে-মাঝে যেন কোনও মধ্যযুগ থেকে এক অর্ধমৃত সমুদ্রের বাতাসের মতো
আমাদের নিশীথ’কে মুহূর্তের কোলাহলে ব্যস্ত ক’রে চ’লে যেত
তবু আমরাই মৃত্যুর ভিতরে প’ড়ে আছি
সে ঢের জীবিত: এই ভেবে বই হাতে নিয়ে- আলোচনা লিখে
আজিকার রাজন্যের বিপরীত কোনও এক নতুন দুর্গের
প্রথম প্রস্তর খুঁজি- পর্বতের ঘুণাক্ষর জঙ্ঘাহীন অবিরাম শোথের প্রদেশে
ভারতীয় মায়াবীর ছায়ার বিরুদ্ধে এক অর্ধস্ফুট বধির সম্ভ্রমে
আধোকলরব তুলে সমান্তরাল এক অনুভব চাহিয়াছি তবু আমি
হিমাবিষ্ট শীর্ণ হাতে মরুঞ্চে পাখির মতো কেঁপে উঠে
এই যুগ- তবু যাহা- উষ্ণ দস্তানার মতো তুলে নিতে পারে
এক-আধ বার জনশ্রুতির মতো শোনা যেত- নিমজ্জিত জনের মাঝারে
সুমাত্রা’য়- জাঞ্জিবার’এ- কিংবা আরও প্রভূত মৃত্তিকা খুঁজে
করোমণ্ডলের উপকূলে নেমেছে সে-

অদ্ভুত (সলাজ) বনের দিকে চেয়ে
আমি যেই সব লঘু কঞ্চির কথা ভাবিতেছি- বহু দিন-
খানিকটা স্বচ্ছ আলোকের তরে- এই নিশ্ছিদ্র আঁধারে
সে যেন তাহার সেই শীর্ণ কৃকলাস-দেহ নিয়ে বলিতেছে
সে-আলোকে ধূসর দেয়াল থেকে আরশোলা’গুলো দগ্ধ হয় না ক’
সোনার বিহঙ্গ ব’লে মনে হয়।
যেন তার পারঙ্গম কৃকলাস-দেহ নিয়ে- সেই দূর- কেন্দ্রের নিকটতম তবু সে-ই-
আমাদের সবার আত্মার সহোদর
নতুন অগ্নির তাপ সঞ্জাত করিতে আছে
নিজেই সে দগ্ধ হয়ে যাবে- দগ্ধ হয়ে গেল-
পুরোনো দিনের শেষ সুগন্ধি অমোঘ নাভিপৃথুলতা ভস্ম ক’রে
কী আমোদ? বড়ো সাদা সমুদ্রের বিহঙ্গের মতো বিলাপের রব তুলে
১৩৩০ সালে বিস্মিত হয়েছি আমি
আজ আর বিস্ময়ের কুয়াশাও নেই।