ধর্মভীরু ঘড়ি

ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি ভেঙে গেলে কোথায় লুকাল সেই ধর্মভীরু ঘড়ি
হয়তো-বা ভূগর্ভের অন্ধকারে কাঁটা তার নড়িতেছে
তার পর ঘুমাতেছে চির-দিন নিষ্ক্রান্ত মানসে
আজ আমি চ’লে যাই বস্তি ভুলে বিদেশের পানে
অনেক পাহাড় নদী উপত্যকা খেত পার হয়ে
যেন কোন মৃত যুবা কবে কোন জামিরের নিচে
পৃথিবীর কেন্দ্র হয়ে প’ড়ে আছে
আমরা শুধু বৃত্ত আঁকিতেছি তার চারিধার ঘিরে
ধীরে-ধীরে পিঁপড়ের মতো যেন
তার পর শামুকের মতো সজল বলয়ে
রঙিন খোলস নিয়ে শামুকের অনায়াস পায়ে
লক্ষ-লক্ষ বর্গমাইল চ’লে যাই কেন্দ্র ছাড়িয়ে
হাওয়াই-দ্বীপের দেশে, সানটুঙে, আন্দিজ পাহাড়ে
যেখানে কোকিল আর গায় না ক’ বালটিক সমুদ্রের পারে
তবু সেই মৃত যুবা
কোনও তিক্ত শূন্যতার ফাঁকি নিয়ে থামে না ক’ আর
তবু জানি সে-ই কেন্দ্র কোনও এক রহিত ঘড়ির
আমাদের এ-জীবন তাই আরও ধীর- আরও ধীর
বায়ুর প্রেরণাহীন- নির্মেঘ কাঁটার ব্যবহার।