জটিল যাত্রাপথের মানচিত্রে

তার সেই অতীব জটিল যাত্রাপথের মানচিত্রে
প্রথমেই (দয়ালু) জলপরবশ সমুদ্র এসে সমস্ত আকাশরেখা অধিকার ক’রে রাখল
অন্ধকার জল, পাশে-পাশে বস্তুর মতো এক-একটি কালো পাহাড়
মানুষের চোখ তার নীরব হৃদয়ের নিয়মে
ধীরে-ধীরে যখন বশীভূত হয়ে আসে
সেই জলের ভিতরে পাহাড়ের শিঙ্ হুবহু প্রতিফলিত হয়ে আছে
(অনুভব করতে পারে)
অনেক ক্ষণ ধ’রে তাকিয়ে দেখতে পারে
এই নির্দেশ কেউ নিজের জ্ঞাতসারে ছিঁড়ে ফেলতে পারে না
সহসা চোখ চেয়ে দেখে বালির উপরে অনেক কালো পাথর
ঈষৎ রোদের ভিতরে যে যার জায়গায় স্থির হয়ে (দাঁড়িয়ে) আছে
যা মানুষের চোখের দেখা তাদের কাছে হেঁয়ালির মতো
(তাদের অপর কোনও দোষ নেই)
নচেৎ তারা পাথর নয়।
হেমন্তের ঈষৎ রোদে পাহাড়
বস্তুর মতন দেখায় আর এক বার
একটি মহৎ গাধা যদি প্লেটোর আত্মা পেত
অথবা প্লেটো মহনীয় উটের আকার।
মানুষের চোখের রেখা তাদের কাছে হেঁয়ালির মতো
(তাদের অপর কোনও দোষ নেই)
স্যার আর্চিবল্ড সিনক্লেয়ার,
রিবেনট্রপ, মহাত্মা গান্ধি, মনোমোহন দে সরকার
নিজেদের পাথর, সমুদ্র, পাহাড় দেখে নিয়ে
নিয়তই নিজেদের বিষয়ান্তরের অন্তর্গত;
নিসর্গ তবুও (একান্তই) নিজের বিষয়ের মতন।