কোনও এক মহৎ গাধার মতন

এক দিন শিলীভূত কোনও এক মহৎ গাধার মতন
(মস্ত বড়ো) সেই কালো পাহাড়ের পাশ দিয়ে সমুদ্র চ’লে যেত
আজও চ’লে যায়। কবেকার কথা আজও তার মনে সাদা স্বাভাবিকতায় জেগে ওঠে।
মুখ না তুলেই অনুভব করেছে সে: সেই সমুদ্রের জল
কী ভয়াবহ ভাবে তেতো ও নীরব
মকরক্রান্তির রাতগুলো তাকে দখল ক’রে রেখেছে দিনের বেলায়
সেই সাগরের ভিজে পরগাছা ঘেঁষে এক-একটি দিন
শীতের দেশের সুদীর্ঘ রাতের মতন
পাহাড়ের শরীরের এক কিনারে- নিচে- টেলিগ্রাফ-স্তম্ভের মতো একটি থাম
অথচ তার নেই
মানুষ এক-দিন এই পর্যন্ত গিয়েছিল- তার পর পরিত্যাগ ক’রে চ’লে এসেছে
পাহাড়ের শিঙের উপরে তবু দু’-চারটে কুটির
সেখানে নারীরা গিয়েছিল
আজ ডাইনির ঘরের মতন হাঁ ক’রে রয়েছে
এক গোল জানালার ফাঁক দিয়ে অপর গোল জানালায়
বাতাস হু-হু ক’রে উড়ে যায়
সকালে- দুপুরবেলায়-
এ-সব জিনিস মানুষের জন্য নয়
এক-আধ জন মানুষের হৃদয় তবু
এ-রকম সমুদ্র ও কালো পাহাড়ের পাশে মাঝে-মাঝে একা দাঁড়ায়
তার পর স্বাভাবিক বিষয়ান্তরে ঢুকবার আগে নিসর্গের সায়
কিছু পায়। বস্তুত, মানুষের বিষয়ান্তরকে পণ্ড করবার জন্য
নিসর্গের পৃথক কোনও রুচি নেই
কিন্তু নিজের বিষয়কে সে কখনও পণ্ড হতে দেয় না।