কোথাও ভোরের বেলা

কোথাও ভোরের বেলা দৈব-বাণী হয়ে গেল ঘন নীল আকাশের কিনারার থেকে
পিপুল বাতাসে উড়ে প্রদক্ষিণ ক’রে যেতেছিল গোল পৃথিবীর রেখা
ভোরবেলা নগরীর বাজারের গুঞ্জরণে হলুদ মাছির মতো আমাদের দেখে
স্মরণ করায়ে দিল বিশাল রৌদ্রের পথে মানুষের হৃদয়ের মতো আর নেই কেউ একা
মিনারের সাদা চূড়া নীলিমায় মিশে যায় একটি নারীর মতো নির্জন কাপড়ে মুখ ঢেকে।

আধ-ঘণ্টাটাক যদি কান পেতে শোনা যায় তা হলে সেনানী, শনি, গণিকা ও ভাঁড়
সারা-রাত শিবিরে-যে গোলমাল হয়েছিল সেই সব রক্তাল্পতার থেকে উঠে
ম্লান বুদবুদের মতো সূর্যের সোনার পথে প্যারাফিন-প্রদীপের মতো অবতার
যত রৌদ্র বেড়ে যায় লক্ষ মাইল- যে যাহার কাছে তারা তত বেশি এক-আধ ফুটে
প্রতিপন্ন হয়ে যায় সর্বব্যাপী- নিরাকার সুবিধার মতো আখখুটে।

আমিও তাদের ভিড়ে (এক ইঞ্চিও) উপসত্ব ভোগ ক’রে কাটাতেছি স্মরণীয় দিন
আমার আলোর থেকে স’রে গিয়ে মিনারের ছায়া দূর বড়ো সূর্যের কাছে জানাতেছে দাবি
আমার মুখের নিচে ছায়া খেলা করে দেখে নিজেকে প্রদীপ ব’লে ভাবি
সকলের মরণের আগে আমি সকলের মরণকে ভোগ ক’রে অতি সমীচীন
হয়ে তবু মুর্গি ডাকার আগে সূর্যের দিকে চেয়ে ব’লে যেতে পারি আবিরাবি

তবুও এমন কাজ নিখুঁত হৃদয়হীন ভাবে শৌখিন।