নয়ানি নদীর জলে

নয়ানি নদীর জলে বাবলার বন ঝুঁকে ছায়া ফেলে
(পৃথিবীর পথে নয়- আমার হৃদয়ে- যখন গিয়েছি বার হয়ে)
সেই জল থেকে যেন প্রেত এক উঠে আসে কবেকার
মনস্বিনী প্রেমিকার চিবুকের লঘু সংশয়ে
কেমন-যে প্রিয় শিহরন
কেঁপে ওঠে বাবলার বন
সে-নারীর নগ্ন মুখে ঢুকে আমি চ’লে যাই ধূসর সময়ে

তখন আর-এক চাঁদ ছিল এই হাতির-দাঁতের মতো সাদা পৃথিবীতে
কোটি-কোটি নক্ষত্রেরে দূরে যেতে ব’লে
কালো-কালো মেঘ স্বপ্ন দেখে যেত বর্ষণের হ্রেষাশব্দহীন
আমাদের এ-পৃথিবী গভীর নীরবতর হলে
পেত সেই সূর্য- চাঁদ- মেঘ
প্রেম তবু গভীর উদ্বেগ
শীর্ণ সাদা হাতে তার বিজ্ঞানের রূঢ় দাঁত প’ড়ে গেল স্খ’লে।