অনুভব

আমরা আশ্চর্য পথে যাব না কি আর?
কোথাও দেখার মতো র’য়ে গেছে কিছু।
আত্রেয়ীর থেকে বঙ্গসাগরের সীমানা বিপুল;
ভোরবেলা পশ্চিমের থেকে যাত্রা ক’রে
সায়াহ্নের বাংলার বদ্বীপের মতো উপকূল;
লবণসমুদ্র তাকে যেমন উজ্জ্বল করে- সূর্য যা সব
রৌদ্র দিয়ে সৃষ্টি করে-
তা ছাড়া নীরব।

বাংলার মাঠের শিয়রে বড়ো চাঁদ
ধীরে এসে থেমে দাঁড়াতেই-
প্রকৃতি নিজের মনে যা দেয় তা ছাড়া
কোথাও বাড়ন্ত জ্যোৎস্না নেই।
মৃতদার হয়ে গেলে তবু তার ছায়ার মতন
এই সব এইখানে মানুষের মন
অধিকার ক’রে থাকে।

এই দেশ সূর্যের, সাগরের আলো থেকে সেঁচা;
তাম্রকায় মানুষের কাছে কিনে বেচা সব- মূল্যহীন ভাঁড়ারের পেঁচা
না জেনে জ্যোৎস্নায় ওড়ে কী রকম বিভাতির মতো
আজ কিছু শান্তি নয়- সুখ নয়,
ব্যথা নয়- তবে
ভেদাভেদ লোপ ক’রে দিতে গিয়ে অন্তহীন বিভেদ জেগেছে,
ফুরাতেছে- এরকম শ্রেণীস্বার্থহীন অনুভবে।