স্পষ্ট হয়ে দীপ্তি আছে

স্পষ্ট হয়ে দীপ্তি আছে- যখন আসিবে মৃত্যু
তোমার অগ্নি জন্মেজয়?
প্রেম যে গিন্নীকে তার মৃত্যু দেয়- ডিম দেয় তবু-
এ পাখি ভ্রুণের থেকে বার হয়ে বুঝে গেছে
সুস্থ বোধ। দোলনার শিশুর প্রতিভূ।

হয়তো ঘুঘুর আগে মানুষ বাঁচিত ঢের হাজার বছর।
আমাদের পরিসর সমীচীন। চন্দ্রগ্রহণের রাতে ভুল তীর্থে ঢুকে
দেখে যাই কচ্ছপের দেহে রঙ, অবান্তর জ্যামিতিক রেখা।
শাণিত কামড় দিয়ে যেতেছে বিবেকে।

অদ্ভুত শীতের রাত্রি এল ব’লে পশ্চিমের দিকে সূর্য অস্ত যায়
কম্পাসের কাটা চলে উত্তরের দিকে
সারারাত দানবের শব্দ যেন: তারা হৃত, অপমৃত্যু হয়ে গেল ব’লে।
পাতা ঝরে। হাড়গিলা কুয়াশায়। নক্ষত্রের অন্ধপথ সময় ঘড়িকে
বিগ বেন ব’লে জানে।
প্রীত হয়ে ভুলে যায়। মৃত হয়ে। হয়তো-বা শৈশবের খেলা
ছন্দ যেন প্রতিভার মতো তবু। বয়স্কের ক্লান্ত মুখ অন্ধকার শূন্যে প্রলম্বিত।
আমাদের খেত নাই। প্রভাতের সিন্ধুকাক পারসিক সমুদ্র পারে তার স্বাদ
নিয়ে গেছে। চারিদিকে পাহাড়ের অন্ধকার, নেত্ররোগ- জ্যোতির মতন সূর্য
একবার দেখা দিয়ে চ’লে যায়। হয়তো-বা ইতিহাস অনেক পিছনে এসে
আদি বিভা। দুপুরের পৃথুল দৃঢ়তা,- আমাদের তরে নয় আর
আঘাত করেছি মোরা ঢের মেধে- স্ফুলিঙ্গের
বাজীকর শক্তি ভালো বোঝে
এইবার জতুগৃহ ভাঙিবার দিন, কিছু সৃষ্টি করিবার।