বাঁশপাতা মন্দিরের গায়ে

বাঁশপাতা মন্দিরের গায়ে মুখে ঝাড়ন চালায়
যতবার হাওয়া আসে মন্দিরে চুনবালি উড়ে যায়
মন্দিরে বিগ্রহ নেই, ভিতরে খোঁদলভর্তি সাপ
কাটে না কাউকেই, শুধু লম্বা দাগ টেনে সাঁতরায়
পুকুরে-চান করে কেউ উঠে গেলে সিড়ি রাখে তার পায়ের ছাপ
সাইকেল হেলানো আছে মন্দির রোয়াকে, লোক নেই
ওখানে দুপুরে বসে কারা করে চাপা আলোচনা
কারো চোখ ছোট, কারো কাটা দাগ মুখে, ভাঙা হাত
তারা কেউ নেই আজ, কে বউটি কাপড় জামা কেচে
উল্টো ঘাটে উঠে যায়, দুপুর গড়িয়ে চলে মাটির রাস্তায়,
একজন
কিশোর একলাটি বসে ঢিল ফেলছে পুকুরের জলে
সে আজ দুপুরবেলা জীবনে প্রথম একটা কবিতা লিখেছে