দেখা হ’ল ঘুম নগরীর রাজকুমারীর সঙ্গে,
সন্ধ্যা-বেলায় ঝাপ্সা ঝোপের ধারে,
পরনে তার হাওয়ার কাপড়, ওড়না ওড়ে অঙ্গে,
দেখলে সে রূপ ভুলতে কি কেউ পারে?
চোখ দুটি তার ঢুলু ঢুলু মুখখানি তার মিঠে,
আফিম ফুলের রক্তিম হার চুলে;
নিশ্বাসে তার হাস্নু-হানা, হাস্যে মধুর ছিটে,
আলগোছে সে আল্গা পায়েই বুলে।
এক যে আছে কুজ্বটিকার দেওয়াল-ঘেরা কেল্লা,-
মৌনমুখী সেথায় নাকি থাকে!
মন্ত্র প’ড়ে বাড়ায় কমায় জোনাক্-পোকার জেল্পা,
মন্ত্র প’ড়ে চাঁদকে সে রোজ ডাকে!
তুঁত-পোকাতে তাঁত বুনে তার জানলাতে দেয় পর্দ্দা,
হুতোম প্যাঁচা প্রহর-হাঁকে দ্বারে;
ঝর্ণাগুলি পূর্ণ চাঁদের আলোয় হ’য়ে জর্দ্দা
জলতরঙ্গ বাজনা শোনায় তারে!
কালো কাঁচের আর্শীতে সে মুখ দেখে সুস্পষ্ট,
আলো দেখে কালো নদীর জলে!
রাজ্যেতে তার নেইক মোটেই স্থায়ী রকম কষ্ট,
স্বপন সেথা বেড়ায় দলে দলে!
সন্ধ্যাবেলার অন্ধকারে হঠাৎ হ’ল দেখা
ঘুম-নগরীর রাজকুমারীর সনে,
মধুর হেসে সুন্দরী সে বেড়ায় একা একা,
মূর্চ্ছা হেনে বেড়ায় গো নির্জ্জনে!