ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা

ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
গোলাপ নেবো।
গুলবাগিচা বিরান বলে, হরহামেশা
ফিরে যাবো,
তা হবে না দিচ্ছি বলে।
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
গোলাপ নেবো।
ফিরতে হলে বেলাবেলি হাঁটতে হবে
অনেকখানি।
বুক-পাঁজরের ঘেরাটোপে ফুচ্‌কি মারে
আজব পাখি।
পক্ষী তুমি সবুর করো,
শ্যাম-প্রহরে ডোবার আগে, একটু শুধু
মেওয়া খাবো।

শিরায় শিরায় এখনও তো রক্ত করে
অসভ্যতা।
বাচাল কণা খিস্তি করে, হাফ গেরস্ত
প্রেমের টানে;
হঠাৎ দেখি, চক্ষু টেপে
গন্ধবণিক কালাচাঁদের, মিষ্টি মিষ্টি
হ্রস্ব পরী।
বিষ ছড়ালো কালনাগিনী বুকের ভেতর
কোন্‌ সকালে।
হচ্ছি কালো ক্রমাগত, অলক্ষুণে
বেলা বাড়ে।
সর্পিণী তুই কেমনতরো?
বিষ-ঝাড়ানো রোজা ডেকে রক্ষা পাওয়া
কঠিন হলো।
ছিলাম পড়ে কাঁটাতারে বিদ্ধ হয়ে
দিনদুপুরে,
রাতদুপুরে, মানে আমি সব দুপুরে
ছিলাম পড়ে।
বাঁচতে গিয়ে চেটেছিলাম
রুক্ষ ধুলো; জব্দ নিজের কষ-গড়ানো
রক্তধারায়।

ইতিমধ্যে এই মগজে, কয়খানা হাড়
জমা হলো?
ইতিমধ্যে এই হৃদয়ে, কয়খানা ঘর
ধ্বংস হলো?
শক্ত পাক্কা হিসাব পাওয়া।
টোফ-ফর্দের পাতাগুলো কোন্‌ পাতালে
নিমজ্জিত?

তালসুপুরি গাছের নিচে, সন্ধ্যা নদীর
উদাস তীরে,
শান-বাঁধানে পথে পথে, বাস ডিপোতে,
টার্মিনালে,
কেমন একটা গন্ধ ঘোরে।
আর পারি না, দাও ছড়িয়ে পদ্মকেশর
বাংলাদেশে।
ঘাতক তুমি সরে দাঁড়াও, এবার আমি
লাশ নেবো না।
নই তো আমি মুর্দাফরাশ। জীবন থেকে
সোনার মেডেল,
শিউলিফোটা সকাল নেবো।
ঘাতক তুমি বাদ সেধো না, এবার
আমি গোলাপ নেবো।