জোস্নার সবুজ আগুন

ভালোবেসে বুকে নিলে দংশনে রক্তাক্ত করে
হৃদয়ের সবুজ সমল। তবু বুকে এলে তৃপ্তি আসে
জলন্ত আকাশ ঢাকে একঝাঁক জলের কনিকা,
নিমেষে উর্বরতা নেচে ওঠে শস্যের সতেজ গ্রীবায়
ফসলের সুষম বিন্যাসে।

বুকে এলে জমাট কান্নার শিলা মুখরিত স্রোতে
নেমে যায় বন্যার সমুদ্রগামী মাছের মতোন,
অবয়বে ডানা মেলে পোয়াতির সুষমা বীথি
যেন শংখচিলের পালক ছড়ানো ঘাসের বিথানে।

কীভাবে ফেলে যাও এইসব কারুকার্জ, ছবি, শিল্পকলা
এইসব তরু, ঘোলাটে চাঁদ, চকচকে রুপোলি সিকি,
উদাসিন জলের মতো ভেঙেচুরে তুলে আনো নরোম পাললিক
কী ভীষন ইচ্ছাকৃত উদাসিনতায় বিস্তৃত হতে থাকো
বুকের টারবাইনে!

তোমার অস্তিত্বের শূন্যতাকে ধরে রাখি বিপুল বাসনায়
ইচ্ছার বাঁকা ঠোঁটে একটি ধূসর গোলাপ পুড়ে যেতে থাকে
পুড়তে পড়তে এসে ঠেকে গেলে চুম্বনের মাধবীভূমিতে
ভুলে যাই দ্বিতীয়বার তোমার রক্তমাংশ, কোমরের উন্মুক্ত আকাশ,
নখের হিংস্রতায় ছিড়ি বাহার হাজার দিন- একখানি জৈবিক শহর …
কী ভীষন উদাসিনতা তোমার রক্তের ভেতর ছড়িয়ে রয়েছে
একাধিক উত্তর মেরু, তুষার শীতার্ত প্রেম।

বুকে এলে পদ্মার ভাঙন আসে অসহায় চোখের কিনারে,
সংসারের ভিত এক একাকী মাতাল উড়ায় তাসের বিভিন্ন প্রতিক,
গাঁয়ের বসতি উঠে যায় প্রতিবেশী নিরাপদ দেশে।
ভাসমান আয়ু নিয়ে পরমায়ু খোঁজে
সেই পোড়োবাড়ি ফেলে যাওয়া অবিশিষ্ট আসবাব

যাকে কোনদিন কেউ রাখেনি কোনো গৃহের আশ্রয়ে
ভালোবেসে বুকে নিয়ে চিরকাল তাকেই বলেছি প্রেম
প্রিয়তম তীর্থভূমি।