নিস্কৃতি

হে জীবনকাব্য! তোমাতে আর নয়;
আর নয় ব্যর্থতা- অনশনের গান,
নয় আর রিক্ততার মর্ম আর্তনাদ,
নয় হতাশাগ্রস্ত আত্মার গন্ধ-ঘ্রান।

রাত্রির অন্ধকার আরো প্রকট ক’রে
নয় তুলে ধরা আবারের মূক গহবরে।
রিক্ত বক্ষখানা আরো ক’রে রিক্ত,
নয় আর অশ্রু কপোলদ্বয় আরো সিক্ত।

ভাঙা পথটাকে আরো বাঁকায়ে
দেখবার সময় বহুক্ষন গেছে পেরিয়ে।
বিরহ বিলাপের কাল এ নয়,
পিছিয়ে আসাও চলবে না ভয়ে।
শুধু সম্মুখে লক্ষ্য তোমার আরো তীক্ষ্ণ কর
পেছনে অনেক স্রোত পারবে না ফিরতে,
যেটুকু আশ্রয় পাও প্রানপনে আঁকড়ে ধরো
হঠাৎ যদি হাত ফসকে যায়, নিশ্চিন্ত
পড়ে যাবে জঞ্জালপূর্ন আঁস্তাকুড়ে।

গতরাতের সুখ-স্বপ্নটা নির্বিঘ্নে
ভুলতে না পারো চেষ্টা করো;
তবু, বৃথা স্মরন করে থেকো না উদ্বিগ্নে।
বিরহকে যদি গানের সুরে বাঁধো
তাকে তো ভুলতে পারবে না।
শুধু যদি বিস্মৃতির মোহে কাঁদো
সমুখের দ্বারতো হবে না খোলা।

হে জীবনকাব্য, এবার তোমাতে আমায়
হবে নতুন এক অভিনব সম্বন্ধ,
আমার বিধুর রোদনে নিখুঁত তুলির ছোঁয়ায়
আমি আঁকব সুন্দর বন্দনার ছবি।
যদি তুমি পারো থেকো আমার সান্নিধ্যে
নয়তো তোমায় দিলেম নিষ্কৃতি
অকারনে বাড়াব না আর রঙিন স্মৃতি।
তোমার আমার নতুন এক সম্বন্ধ,
আমি বেদনার পাথারে তুমি মনোরম ছন্দ।