অন্তরঙ্গ নির্বাসন

এই দরোজায় নাড়ছে কড়া
অপেক্ষাতে কাটাচ্ছো ক্ষন
আমি দুয়ার খুলবো না।

ভেতর থেকে আটকে আছি
দ্বন্দ্বদ্বিধা ফেলছি ছুঁড়ে দূর নদীতে
করাঘাতের শব্দ আমার শূন্যতাকে
ফেলছে কেটে টুকরো টুকরো দারুন স্বরে

বুকের ক্ষতে উঠছে নড়ে স্মৃতির পোকা
পেণ্ডুলামের ক্লান্ত ধ্বনি মুখরতাময়।

রক্তে আমার লুকিয়ে ছিলো সোনালি রোগ
কৃষ্ণচুড়া মধ্যরাতে অকাল ফেলায়
ডাকতো সেদিন রম্য আলোর মগ্ন স্নানে।

এখন বুকে সুরম্য এক ঢেউয়ের সাগর
যখন তখন বাজায় বিপুল আরাধ্য সুর
করাঘাতের শব্দে আমি জাগবো না আর
আর কখনো দুয়ার আমার খুলবো না।

দিনরাত্রি খুলছে শোষাক তোমার চোখে
অপেক্ষার এক অবোধ বৃক্ষ বাড়ছে ধীরে,
স্বীকার করি রাত্রি আমার আজন্ম সুখ
জন্মাবধি ধূপের কোমল গন্ধমালা
ছড়িয়ে আছে স্বজন হাওয়া চতুদিকে,
মায়ের স্নেহ ক্রমান্বয়ে হচ্ছে সুদূর-

এই শহরে শরীরময় ঘামের মতো অন্তরঙ্গ
ভালোবাসার গন্ধ নিয়ে
মাটির দিকে থাকবো ফিরে ব্যতিক্রমী-

চৈতন্যের সবুজ মাঠে করাঘাতের উগ্র নিশ্বাস
টের পাচ্ছি সকল সময়

সকল কাজে স্মৃতির মতো রোদ উঠছে
হাওয়ার স্বরে বেজে উঠছে নীল করাঘাত।
তবু তো এই দুয়ারখানা খুলবে না আর
আর কখনো রাতজাগা চোখ অপেক্ষাতে
দগ্ধিভূত মেলবে না তার আপন ভুবন।

(১১২ ক্রিসেন্ট রোড, কাঁঠালবাগান)