পৃথিবীর কোনও নদী

পৃথিবীর কোনও নদী চেনে কি সে অন্ধকার জল
চাঁদ যেন শীর্ণ যুবকের মতো এক নিচু হয়ে- বেঁকে
দেয়ালের মতো ঝুঁকে পৃথিবীর কামনার থেকে তারে রাখিয়াছে ঢেকে
সব আলো পৃথিবীর মাঠে ফেলে চঁদ যেন কালো চাদরের মতো হয়েছে অমল
পৃথিবীর সব-চেয়ে বিবর্ণ গম্বুজে
সেই চাঁদ আর সেই কালো জল খুঁজে
সাদা কুমুদের গন্ধ পাই আমি- হাতে যেন লাগে কালো জল

নিস্তব্ধ জলের অরণ্যে সেই- সেখানে সে-পাখি
এক দিন পৃথিবীর পাখি ছিল- আননের নগ্নতা কী লাজ
তবুও সে পৃথিবীর দেহ-ভীরু আজ- দেহে কার কাজ
কুয়াশার মতো হিম হাত নিয়ে পৃথিবীতে আসে না একাকী
অন্ধকারে ঠেস দিয়ে তবু আমি দাঁড়াই যখন
শুনি এই পৃথিবীর শূন্যে বিঘূর্ণন

সকল সোনার ডিম কেবলই সোনার মতো ভেবে যেন চির-তরে ঘুমাতেছে পাখি।