নিজেকেই প্রশ্ন

ঢের হৈ চৈ, শোরগোল, হুটোপুটি হল। কনুইয়ের
গুঁতোগুতি, পা মাড়ানো কস্মিনকালেও
হয়নি আমাকে দিয়ে। অবশ্য করেছি
ছুটোছুটি সভায় মিছিলে, আর রক্তাক্ত পা নিয়ে
ফিরেছি আপন ঘরে পরিশ্রান্ত। বলেছেন কতিপয় গুণী,
সেসব ছিল না কাজ কখনও আমার। চুপচাপ
ঘরে বসে বই পড়া এবং কবিতা লেখা নিয়ে
ডুবে থাকাটাই
বস্তুত আমার কাজ, একথা জপিয়েছেন তারা। তবু আমি
সেসব কথার ভ্রমরকে দূরে ঠেলে অশুভের
প্রতিবাদে হাত তুলে আকাশের দিকে
প্রোজ্জ্বল মিছিলে দৃঢ় হাঁটি অদ্যাপিও।

এখন কি খুব ক্লান্ত আমি? ফুরিয়ে এসেছে দম?
সময়তো বেশি নেই। অপরাহ্নে খানিক জিরোনো প্রয়োজন,
পাখিদের সতেজ গমের দানা খেতে দিয়ে সকালে বিকেলে,
কাঠবিড়ালির খেলা দেখে, কখনওবা চুপচাপ
বসে থেকে নিখাদ শান্তিতে
সময় পোহানো আর নতুন কবিতা লেখা পুরোনো খাতায়
বড় কাঙ্ক্ষণীয় মনে হয়। টলটলে স্তব্ধতাই
চাই আজ, অথচ কোথায় শান্তি, কোথায় স্তব্ধতা?

২৪.৩.৯৯