নশ্বর পাণ্ডুলিপি

চৈতন্যে এক প্রথাগত ভালোবাসার নদী, স্বপ্নিল নদী
আমাকে ভাঙতে শেখায় আমার যৌবনের গৌরব
এভাবে আমি এবং আমার চৈতন্যের শব্দ ও শেকড়
সম্পন্ন বিশ্বাসের নড়বড়ে মাটির অভ্যন্তরে
বাড়তে গিয়েও আবার স্থবির অস্তিত্বে
কেন জানি আঁকড়ে থাকে রকমারি বালুকণায়
আমার অবাক বিস্ময় বার বার আমাকে বাঁচায়
শুধু তোমার দৃশ্যমান অহঙ্কারের দিনলিপিতে
যেখানে জীবনের সত্যকে মানুষ
কেবলই প্রথাগত সত্যের সঙ্গে তুলনা করে প্রকৃতিতে, বিশ্বাসে
তারপর সবই অভ্যাসের অপসৃয়মান ধারা
আমাদের ভালোবাসা যেমন
অভ্যাসের প্রিয় দাস-দাসী হয়ে কলরোল তোলে বৃক্ষশোভায়
সমুদ্র কিংবা নদীতে ভাঙনের সুরে
এরপর আমিও ক্রন্দনরত কোনো সত্যের প্রবাহ
যে আমাকে প্রথাবিমুখতার ভাঙন এবং ভালোবাসা
এ দুটো ভিন্ন অর্থকে রোপিত করে বোধে
শাসিত করে সংশয়ে
আমার প্রাণ এবং হৃদয়-কলরব
পাহাড় এবং মাটির সত্য-ঘূর্ণন
আমার বংশবদ আয়োজনকে দেয় অনিশ্চিত অদৃষ্টের গুঞ্জন
সত্যকে দেয় মিথ্যার প্রলম্বিত আশ্রয়-অনুলিপি
আর সমর্পিত ভালোবাসার নামে রাখে-
প্রথাগত নশ্বর পাণ্ডুলিপি